বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দিতে আগে থেকেই নিবন্ধন করতে হবে। শুধুমাত্র নিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররাই পোস্টাল ব্যালটে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে পারবেন ভোটে। সরকারি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এটা করলে ভোটার প্রতি ৭০০ টাকা খরচ হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের সুযোগ দিতে এবার প্রথমবারের মতো উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য চারটি বিকল্প পদ্ধতি বিবেচনা করে পোস্টাল ব্যালটেই ভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।
তিনি বলেন, আমরা এখন অনলাইনে একটা প্ল্যাটফরম বানাবো, মানুষের অপশন নেওয়ার জন্য, তাদেরকে প্রবাসী ভোটার হিসেবে ট্রিট করবো। পরে তাদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠাবো। এটা অনেকটা কস্টলি (ব্যয়বহুল) হবে। আমরা এজন্য ডিএইচএল ও ফেডেক্সের (আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস) সাথে কথা বলেছি। একেকটা ভোটের জন্য পাঁচ হাজার টাকা লাগবে।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের ভোটের জন্য কি এত খরচ ব্যয় করবে— এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, এটা হলো ডিএইচএল ও ফেডেক্সের খরচ। তবে সরকারি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এটা করলে ভোটার প্রতি ৭০০ টাকা খরচ হবে। তাদের সাথে কথা হয়েছে, তারা স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করবে, কুইকলি যাতে হয়।