ভোট চলছে চট্টগ্রামে, ঢাকায় সিসি ক্যামেরায় চোখ ইসির

সিসিটিভি মনিটরিং-ইসি
সিসিটিভি মনিটরিং-ইসি

সিসিটিভি মনিটরিং-ইসি : ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটের অনিয়ম ঠেকাতে ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় চোখ রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (৩০ জুলাই) সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু সময় পর থেকেই নির্বাচন কমিশনাররা অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনে স্থাপিত মনিটরিং সেলে বসে ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছেন।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক জানান, ভোট শুরুর পর প্রথম আধা ঘণ্টায় কোথাও কোনো ‘অপ্রীতিকর ঘটনার’ খবর তারা পাননি।

এ উপনির্বাচনের ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় পুরো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছেন ইসি।

আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি এবং কেন্দ্র প্রতি দুটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য। সব মিলিয়ে ১৫৬৩টি সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়।

১৫৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৫টি সাধারণ এবং বাকি ৫৯ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬-১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৭-১৮ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ এবং এপিবিএনের সমন্বয়ে ৮ ওয়ার্ডে ৮টি মোবাইল ফোর্স থাকবে।

এছাড়া ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ৪ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের ৪টি টহল দল ও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ২৪ জন পর্যবেক্ষক বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করবেন। আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও পাঁচলাইশের একাংশ) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী ভোটার।

এ আসেনর উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ছয়জন প্রার্থী। তারা হলে- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সামসুল আলম, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশিদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রকেট প্রতীকে মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বেলুন প্রতীকে মো. আরমান আলী।

চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে তিন দফা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আফছারুল আমীন। গত ২ জুন তিনি মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
সূত্র: বার্তা২৪.কম